নিজস্ব প্রতিবেদক : যতোই দিন যাচ্ছে ততই গুনিয়ে আসছে রায়পুরা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। প্রার্থীদেরও শুরু হয়েছে ব্যাপক দৌরঝাপ। উক্ত নির্বাচনকে সামনে রেখে উপজেলার পাড়াতলী ইউনিয়নে একমত বিনিময় সভায় রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফেরদৌস কামাল জুয়েলের সমর্থনে আপত্তিকর ও বিভ্রান্তমূলক বক্তব্য রেখেছেন পাড়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মাছু। তিনি বলেন, পাড়াতলী ইউনিয়নে যারা জারজ সন্তান না তারা অবশ্যই ফেরদৌস কামাল জুয়েলকে ভোট দিবেন। আর কেউ যদি ভোট না দেই তাহলে নির্বাচনের পরে তাদেরকে ধরে এনে পিটিয়ে বাপ ডাকানোর হুমকি দেন তিনি। মাছু চেয়ারম্যানের এমন বেফাস মন্তব্যে উপজেলা জুড়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। ইতি মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বক্তব্যটি ভাইরাল হয়েছে। উক্ত বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন পাড়াতলী এলাকার রফিক, জয়দর আলী, রোকন মুন্সি সহ আরো অর্ধশতাধিক স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। তারা জানান, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, মুক্তির মহানায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, রায়পুরা থেকে বারবার নির্বাচিত জাতীয় সংসদের সদস্য, সাবেক মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু সাহেবের নির্দেশের বাইরে রায়পুরা তৃণমূল কখনো যায়নি ভবিষ্যতেও যাবেনা। যেহেতু উপজেলা পরিষদের নির্বাচন একটি স্থানীয় নির্বাচন পাড়াতলী ইউনিয়ন থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ফেরদৌস কামাল জুয়েল। আমরা যেহেতু আওয়ামীলীগ করি, তাদের উচিত আমাদেরকে বুঝিয়ে তাদের পক্ষে নেয়া, জুয়েল সাহেব যেহেতু আমাদের এলাকার। তা না করে জুয়েল সাহেবকে ভোট না দিলে আমরা হব জারজ সন্তান আর পরবর্তীতে পিটিয়ে আমাদেরকে বাপ দেখানোর হুমকি দিয়েছেন পাড়াতলী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মাছু। উক্ত ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা। স্থানীয়রা আরো জানান মাছু চেয়ারম্যানের এমন বেফাঁস বক্তব্য রহস্যজনক। গত ২০২১ সালের ১১নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ফেরদৌস কামাল জুয়েল মাসুদুর রহমান মাছু চেয়ারম্যানের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয় হন। বর্তমানে এ ব্যাপারে বেফাঁস বক্তব্য দিয়ে মাছু চেয়ারম্যান প্রতিশোধমূলক জুয়েল সাহেবের মাঠ নষ্ট করছেন বলে দাবি করেছেন তারা। এই ঘটনায় পাড়াতলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৃণমূল, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এবিষয়ে পাড়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মাছুর সাথে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কেন এমন বেফাঁস মন্তব্য করলেন এবিষয়ে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।