রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি :
নরসিংদীর রায়পুরায় স্বামীকে তালাক দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে চিকিৎসক স্ত্রীর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনার ৪ দিনের ব্যবধানে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় দগ্ধ সাবেক স্বামী ও চিকিৎসক স্ত্রী দু’জনই মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্ত্রী লতা আক্তার (২৭) এর মৃত্যু হয়। এর আগে গত সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে লতা আক্তারের সাবেক স্বামী অগ্নিদগ্ধ খলিলুর রহমান (৩৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নিহত লতা আক্তার রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়ন ব্রাহ্মনেরটেক গ্রামের মফিজ উদ্দিন মেয়ে। সে ঢাকা গুলশান এলাকার শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ থেকে লেখাপড়া শেষ করেছেন। অপর দিকে তার স্বামী খলিলুর গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার বেলাশী গ্রামের মো. আতর আলী বেপারীর ছেলে। খলিলুর পেশায় গাড়ি একজন চালক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, গত রোববার দুপুরে রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের ব্রাহ্মণেরটেক এলাকায় লতার বাড়ি থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় লতা আক্তার ও তার সাবেক স্বামী খলিলুর রহমানকে উদ্ধার করা হয়। প্রথমে তাদেরকে নরসিংদী ১০০ শয্যার জেলা হাসপাতালে নেওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ওই নারীকে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে জরুরি বিভাগে পাঠানো হয়।
স্থানীয়রা জানান, চিকিৎসক লতা আক্তার ও খলিল দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক থেকে গোপনে বিয়ে করে কয়েক মাস সংসার করেন। কিছুদিন পর লতা জানতে পারে খলিল প্রবাসী না, সে একজন গাড়ী চালক। এ নিয়ে উভয়ের মাঝে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তখন চিকিৎসক লতা উকিলের মাধ্যমে তার স্বামী খলিলকে তালাকনামা পাঠান। কিন্তু খলিল তাকে নিয়ে ঘর সংসার করতে আগ্রহী।
এরই মধ্যে গত রোববার দুপুরে লতা আক্তারের বাবার বাড়িতে ঘরে হঠাৎ চিৎকার ও চেচামেচির শব্দ শুনতে পায় স্থানীয়রা। এসময় স্বজনরা দ্রুত এগিয়ে গিয়ে ঘরে লতা ও খলিলকে দগ্ধ অবস্থায় দেখতে পান।
Leave a Reply