ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। মঙ্গলবার বিকেলে তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নূরের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।
এসময় ইশরাক হোসেন বলেন, “নূরের মতো সাহসী ছাত্রনেতার ওপর যদি হামলা হয়, তাহলে এদেশের সাধারণ মানুষ কতটা নিরাপদ তা সহজেই অনুমান করা যায়। সরকারের দমন-পীড়ন এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। যদি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের গ্রেপ্তার করা না হয়, তাহলে সরকারকে কঠিন মূল্য দিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই— আন্দোলনরত ছাত্র-যুব সমাজকে দমিয়ে রাখা যাবে না। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হলে রাজপথেই তার জবাব দেওয়া হবে।” নূরের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।
পরে তিনি তার ভেরিফাই ফেইসবুক পেইজ থেকে নূরকে নিয়ে একটি পোষ্ট করেন যা মূহুর্তেই ভাইড়াল হয়ে যায়। তার দেয়া পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো: গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তার ঘনিষ্ঠ, দলের কয়েকজন নেতা। নুরের চেহারায় সেটা স্পষ্ট ভাবে বোঝা যায়। ভিডিও ফুটেজ দেখে এই পর্যন্ত কয়জনকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি করা হয়েছে তা বাংলাদেশের জনগণ দেখতে চায়, জানতে চায়। কোনো বাহিনী বা ব্যাক্তি আইনের ঊর্ধ্বে নয় তা হোক সামরিক অথবা বেসামরিক কোনো ব্যক্তি। নিঃসন্দেহে নুরকে হ*ত্যা করার জন্যই এই আক্রমন করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। এবং নুরকে সরকারি উদ্যোগে অতিসত্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও শাস্তি আজ না হোক কাল হবেই । কিন্তু বর্তমান সরকার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে এবং নুরের কিছু হলে। সরকারের পিঠের চা*মড়া থাকবে না।
এদিকে ঘটনার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ছাত্র-যুব সমাজসহ সাধারণ মানুষ হামলার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি তুলেছেন।