রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি: নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা থেকে ৬টি ইউনিয়ন ভেঙে পার্শ্ববর্তী বেলাব ও শিবপুর উপজেলার সাথে যুক্ত করার প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ ও মানববন্ধনে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো রায়পুরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে প্রতিটি স্থানে প্রতিবাদ করছে উপজেলার বাসিন্দারা। প্রয়োজনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও রেলপথ বন্ধ করে প্রতিবাদের হুশিয়ারি দিয়েছেন অনেকে।
শুক্রবার উপজেলার মরজাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে কয়েক শত মানুষ মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেয়। বিক্ষোভকারীরা 'তোমার আমার ঠিকানা, রায়পুরা রায়পুরা' 'রায়পুরা ভাঙতে দিব না, আসন ভাগ হতে দিব না' সহ বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগানে মহাসড়কে মিছিল করে। বক্তারা বলেন, যে ইউনিয়নগুলোকে শিবপুর ও বেলাবো উপজেলার সাথে যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে, সেগুলোর দূরত্ব রায়পুরার তুলনায় অনেক বেশি। ইতিহাস, ঐতিহ্যসমৃদ্ধ ও বীরশ্রেষ্ঠদের গৌরবময় রায়পুরাকে আর ভাঙতে দেওয়া হবে না।
রায়পুরা থেকে একটি ইউনিয়নও ভেঙে অন্য উপজেলায় নেওয়া হলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, রেলপথ ও নৌ-পথ অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল বলেন, 'রায়পুরা থেকে একটি ইউনিয়নও এদিক-সেদিক করতে দেওয়া হবে না। আমরা এক ইঞ্চি মাটিও ছাড় দেব না। মহাসড়ক বন্ধ করে আন্দোলন করা হবে। এরপর কোনো ক্ষতি হলে দায়ভার নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে।
'জানা গেছে, সম্প্রতি নরসিংদী-৪ (বেলাব-মনোহরদী) আসনকে আলাদা সংসদীয় আসন ঘোষণার দাবি জানায় বেলাববাসী।
এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে বেলাবের এক বাসিন্দা ইলিয়াস উদ্দিন প্রস্তাব দেন, রায়পুরার মুছাপুর, মির্জাপুর, বেলাবো, রাধানগর, উত্তর বাখরনগর, ডৌকারচর ও মরজাল ইউনিয়নকে শিবপুরের সাথে যুক্ত করার। ওই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে রায়পুরার সর্বস্তরের মানুষ।
জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতা ও ছাত্রসমাজ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে এর তীব্র প্রতিবাদ জানান। এরপর থেকেই বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে স্থানীয় জনগণ।