রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি : নরসিংদীর রায়পুরায় ডাকাতির প্রস্তুতি কালে এক ডাকাতকে আটক করে গণ ধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা।
মঙ্গলবার (২৫সেপ্টেম্বর) সকালে রায়পুরা থানায় আটককৃত ডাকাতকে সোপর্দ করে স্থানীয় জনতা। এর আগে ভোর রাতে উপজেলার চরআড়ালিয়া ইউনিয়নের বাঘাইকান্দি এলাকায় ডাকাতি করতে এসে জনতার হাতে আটক হন। তার সাথে থাকা আরও ১০-১২ জন ডাকাত নৌকা যোগে পালিয়ে যায়।আটককৃত ডাকাত রহমান (৪৫) উপজেলার চর আড়ালিয়া ইউনিয়নের বাঘাইকান্দি গ্রামের মঙ্গল মিয়ার ছেলে। তার সাথে থাকা সঙ্গীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বাঘাইকান্দি এলাকায় বাবুল মিয়ার বাড়ির ভিতরে ঢুকার প্রস্তুতিকালে শব্দ শুনার সঙ্গে সঙ্গে ডাকাত ডাকাত চিৎকার দিলে বাড়ির মানুষ বাহির হয়ে ডাকাত দলকে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে ডাকাত দলগুলো ককটেল কাটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা ডাকাত দলকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে রহমান অস্ত্র পানিতে ফেলে দেন। পরে ওই ডাকাতকে স্থানীয় জনতা আটক করে। কিন্তু বাকী ডাকাতগুলো নৌকা যোগে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
ভুক্তভোগী বাবুল মিয়ার জানান, ভোর আনুমানিক ৩-৪ সময় লোকজনের শব্দ শুনে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি ১৫/১৬ জনের একটি ডাকাত দল। পরে আমি ডাক চিৎকার করতে থাকলে এলাকবাসী এসে রহমানকে আটক করে। বাকিরা নৌকা যোগে পালিয়ে যায়। তাদের সাথে দেশীয় অস্ত্র ও গুলাবারুদ ছিলো।
চর আড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান সরকার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি এবং ডাকাত রহমানকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে থানায় পাঠানো হয়।
ইউপি সদস্য জালাল মেম্বার জানান, ডাকাত আতংকে গ্রামবাসী রাত জেগে পাহারায় থাকে। ভোরে বাবুল মিয়াসহ লোকজনের চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা ডাকাত দলকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে ডাকাত দল ককটেল কাটিয়ে আতংক সৃষ্টি করে। ডাকাত রহমানকে স্থানীয় জনতা আটক করার আগেই অস্ত্র পানিতে ফেলে দেন। কিন্তু বাকী ডাকাতগুলো নৌকা যোগে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তার বিরুদ্ধে দফেদার হত্যাসহ ডাকাতির মামলা হয়েছে।
রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল জাব্বার বলেন, জনতা বেলা আনুমানিক ১১টায় আটককৃত ডাকাতকে থানায় নিয়ে আসে। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলাও হয়েছে।
এন’নস/এমনআ
Leave a Reply