রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি :
নরসিংদী রায়পুরায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. দানা মিয়ার উপর হামলার প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৭সেপ্টেম্বর) বিকেলে রায়পুরা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মো. দানা মিয়া তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন, গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা রায়পুরা বাজার জামে মসজিদের একটি নতুন কমিটির বিষয়ে রায়পুরা পৌরসভার সভাপতি মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী মুন্সি প্রস্তাব করিলে, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক মেয়র আব্দুল কুদ্দুস মিয়া স্বঘোষিত নিজে সভাপতি ঘোষণা করেন, আমি বিষয়টি অযৌক্তিক বলে মতপ্রকাশ করিলে আব্দুল কুদ্দুস মিয়া ও আওয়ামী সমর্থিত কিছু খারাপ প্রকৃতির লোকদের নিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে কিল ঘুষি ও লাথি মেরে পাঞ্জাবি টেনে হিছরে ছিড়ে লন্ডভন্ড করে দেন।
এ বিষয়ে দানা মিয়া আরো বলেন, আব্দুল কুদ্দুস মিয়া এক সময় আওয়ামী লীগ করতেন, এখনও যদি বিএনপি থেকে পৌরসভা নির্বাচনে তাকে নমিনেশন দেয়া না হয় সে আবার আওয়ামী লীগে চলে যাবেন। গত ১৭টি বছর আওয়ামী লীগের হাতে নির্যাতিত হয়েছি এখন আবার বিএনপির হাইব্রিড নেতাদের মাধ্যমে নির্যাতিত হচ্ছি, সে আমাকে মসজিদের ভিতরে মুসুল্লিদের সামনে মেরে দলের ভাব মুর্তি নষ্ট করেছে। তাই আমি উপজেলা, জেলা এবং কেন্দ্রীয় বিএনপিদের কাছে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আবদুল কুদ্দুস মিয়াকে বিএনপি থেকে বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি।
এবিষয়ে থানা বিএনপির সহ কোষাধ্যক্ষ রমিজ উদ্দিন ফকির বলেন, মসজিদ একটি পবিত্র জায়গা এ মসজিদে গিয়ে দানা মিয়াকে উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মিয়া আওয়ামী সমর্থিত লোকদেরকে নিয়ে যে হামলা করেছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এবং বিএনপি’র ঊর্ধ্বত নেতৃবৃন্দের কাছে আব্দুল কুদ্দুস মিয়াকে বিএনপি থেকে বহিষ্কারের অনুরোধ করেন তিনি।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মো. হান্নান মোল্লা বিষয়টি নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং সাবেক মেয়র উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার রায়পুরা জামে মসজিদে মুসল্লীদের সামনে এমন জগন্য কার্যকলাপের জন্য জেলা ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নিকট তার বর্তমান পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করে দলের শৃঙ্খলা ফিরে আনার জন্য অনুরোধ জানান।
অপরদিকে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে রায়পুরা পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. আব্দুল কুদ্দুস মিয়া জানান, বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত। আমি দানা মিয়াকে কিছুই বলিনি। মসজিদ কমিটি নিয়ে প্রসঙ্গ উঠলে আবুল কাসেম নামে এক মুসল্লী বলেন, আগে বিগত দিনের হিসাব উপস্থাপন করা হবে পরে কমিটি হবে। তখন দানা মিয়া উচ্চবাচ্য করলে মুসল্লীরা তাকে মসজিদ থেকে বের করে দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা ও পৌরসভার বিএনপি’র বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদরা উপস্থিত ছিলেন।
এন’নস/এমনআ/জুয়েল
Leave a Reply